ডেস্ক রিপোর্ট।। দূর্নীতিবাজের গরুর হাটে বিক্রি হয়ে গেলেন অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, সভাপতি - রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগ। কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ১১৪ পটুয়াখালী ৪ আসন, এই আসনটিতে স্বাধীনতার পর থেকেই নৌকা বিজয় হয়ে আসছে। বিএনপির শাসন আমলেও এখানকার মানুষরা নৌকাকে বিজয় করেছেন শুধু মাত্র জাপার শাসন আমলেও ভোট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে এমপি হয়েছিল জাপা প্রার্থী।
দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে এই জনপদ থাকলে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে বিজয় হন মাহবুবুর রহমান তালুকদার। দুইবারের এমপি নির্বাচিত হয়ে পেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী পদ, দীর্ঘ এই সময়ে তিনি এই আসনকে তৈরি করেছিলেন দুর্নীতির আতুরঘর, তার সময়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজী, জমি দখল, নিরীহ মানুষের প্রতি অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো এখানকার মানুষ। তৈরি করেছিলেন পেটুয়াবাহিনী তাদের এই মুস্টিমেয় কিছু নামধারী নেতাদের কাছে জিম্মি ছিলো সিংহভাগ জনসাধারণ। তাদের হাত থেকে বাঁচতে বছরের পড়ে বছর মানুষ কেঁদেছে মোনাজাতে, আওয়ামী লীগের এই শক্ত ঘাঁটি ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে গেছে মাত্র দশ বছরে। দলীয় কোন্দল নেতাকর্মী'রা হামলা মামলার স্বীকার হয়ে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, কিন্তু এই পাপ মুছতে মাঠে নামেন দুদক মাহবুবুর রহমান তালুকদারের অবৈধ সম্পদের হিসেব না দিতে পাড়ায় জড়িয়ে গেলেন দুদকের জালে তিনটি মামলার তদন্ত চলাকালীন রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীর ১৫ বছরের ব্যবধানে সম্পদ বেড়েছে ২৯ গুণ এই হিসেব যখন দুদক মেলাতে যখন ব্যস্ত, ঠিক তখন তার পেটুয়া বাহিনী মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। এই পেটুয়া বাহিনীর প্রধান ছিলেন তার নিকটতম আত্মীয় স্বজনরা, মজিবুর রহমান তালুকদার একসময়ে বাজারে সবজি বিক্রি করলেও এখন কোটিপতি, জামান মেম্বার বাজারের টাকা ধার করে চললেও কয়েকদিনের ব্যবধানে তৈরি করেন দালান, স্কুলের দপ্তরি থেকে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন আবদুল জলিল আকন, মাহবুবুর রহমান তালুকদারের নির্দেশ শুরু করেছিলেন সাগর বিক্রি কোটি কোটি টাকা আয়ের উৎস ছিলেন এই চেয়ারম্যান। কলাপাড়া উপজেলায় এমন বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে পুরো উপজেলার নজরদারি করতেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
রাঙ্গাবালী উপজেলার সাগর বিক্রি সহ সরকারি যায়গা দখলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাঙ্গাবালী উপজেলা- সভাপতি - অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ রাখতেন রাঙ্গাবালী উপজেলা, রাতারাতি তিনিও হয়ে যান কোটিপতি, দলীয় পদধারী এই নেতা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বর্তমান সাংসদের সাথে থাকলেও কোন অবৈধপথে ইনকাম করতে না পেরে, খোলস পাল্টিয়ে আবারও ফিরে যান সেই চিরচেনা দুর্নীতির আতুড়ঘরে। পোশাক থেকে খুলে ফেলেন নৌকা যোগ দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুব তালুকদারের পেটুয়া দলে।
কিন্তু ২০১৮ সালের জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনে দুর্নীতির কারণে মনোনয়ন দৌড় থেকে ছিঁটকে পড়েন এই সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ২০১৮ সালের এই আসনে মনোনয়ন পেয়ে যান বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান মহিব, তিনি বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করার এক বছরের মধ্যেই ঘুরিয়ে ফেলেন এই আসনের চাকা। বন্ধ করে দেন দখলবাজী টেন্ডারবাজী সহ অবৈধ সম্পদের সকল সুযোগ। চিহ্নিত করেন বিগত দিনে এই অবৈধ পথে থাকা নামধারী নেতাদের আর এতেই বিরূপ হয়ে যান এই নামধারী নেতারা। এই সাংসদ ক্ষমতায় থাকতে বেশ কয়েকবার ঘুরঘুর করলেও অবৈধ সুযোগ না পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগ থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন গোপনে বৈঠকের মাধ্যমে মনোনয়ন যুদ্ধ থেকে শুরু করে নৌকাকে হারাতে মরিয়া দিনরাত কাজ করছেন অবৈধপথে থাকা এসব এসব লোকেরা। এতদিন নৌকার কর্মী হিসেবে পরিচয় দিলেও এখন ওপেন হয়ে কাজ করছেন তাঁরা, নৌকার নামগন্ধ রাখবেনা বলেও হুমকি ধামকি দিচ্ছেন কিছু নামধারী নেতারা। আর এই হুমকিতে সাধারণ মানুষ কিছুটা ভয় পেলেও নড়েচড়ে বসছেন তাঁরা, দীর্ঘ দিনের অত্যচার থেকে শান্তিতে কাটানো ৫টি বছর ভুলতে না পেরে তাঁরাও এই শান্তি ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাঁরাও চালিয়ে যাচ্ছেন ক্যাম্পিন তাঁরা বলছেন এবারের নির্বাচন হবে নামধারী নেতাও ত্যাগী কর্মীদের সাথে।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, মাহবুবুর রহমান তালুকদারের সাথে যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁরা সবাই চিহ্নিত, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মদখোর, তাদের অত্যচার থেকে বাদ যায়নি এই উপজেলার মানুষ আমরাও দেখবো এই নির্বাচনে কারা জয় লাভ করে আমরা প্রাই ৭০ শতাংশ সাধারণ মানুষ মহিবের নৌকায় ভোটের অপেক্ষায় নৌকার ভোটার আমরা, আবার নৌকার পাহারাদার আমরাই , সাধারন মানুষেরই বিজয় হবে।
নৌকার মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান আমি ছোটবেলা থেকে জানি এই উপজেলায় কারা ভালোমন্দ সাধারণ মানুষের অত্যচার আমিও দেখেছি। আমি সাংসদ হয়েই তাদের কে চিহ্নিত করেছি, আমার সময় তাদেরকে সকল অপরাধ থেকে বিরত রেখেছি তাতেই তাঁরা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। কিন্তু আমি সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সাধারণ মানুষ ভালো থাকুক এটাই আমার চাওয়া, আর সাধারণ মানুষই বেশি এই আসনের ভোটার, তাদের গুরুত্বই আমার কাছে বেশি থাকবে নেতাদের চেয়ে এটাই স্বাভাবিক।
উপদেষ্টাঃ মোঃ মিজানুর রহমান বুলেট, সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আরিফ মাহামুদ সুমন, প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ বশির উদ্দিন মাষ্টার, বর্তা সম্পাদকঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মোঃ সিদ্দিক মোল্লা
আঞ্চলিক অফিসঃ মহিপুর থান সড়ক, মহিপুর, পটুয়াখালী। যোগাযোগঃ 01712926762; 01711583703; 01718260171;01615525540; Email: news.dainikkalaparaprotidin@gmail.com