সম্প্রতি প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা আবেদ আলীর ফেইসবুক পোস্টে দাবী করা কুয়াকাটা সান মেরিনা আবাসিক হোটেলের মালিকানা অস্বীকার করলেন সান মেরিনা হোটেলের মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন।সৈয়দ আবেদ আলী পিএস সি’র চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক। সোমবার সৈয়দ আবেদ আলীসহ প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন প্রতারণা সহ অবৈধ ভাবে অর্জিত সম্পদের তথ্য। তার মধ্যে অন্যতম গত ১৮ ই মে আবেদ আলী ব্যক্তিগত ফেইসবুকে নিজেকে কুয়াকাটা সান মেরিনা আবাসিক হোটেলের মালিকানা দাবী করে শেয়ার বিক্রি করার পোষ্ট । যেটা বর্তমানে প্রশ্নপত্র ফাঁস কান্ডে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সহ সর্বস্তরে চঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
তথ্যসূত্রমতে, সরেজমিনে কুয়াকাটা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়া গিয়ে দেখা যায়, প্রাচীর ঘেরা ২ টি টিনসেড ভবনে মাত্র ৬ টি রুম দিয়ে চলছে কুয়াকাটা সান মেরিনার আবাসিক হোটেলের কার্যক্রম। ভিতরে বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শুরুর অপেক্ষায়। হোটেলের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার পরিচয়ে মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, তিনি বিগত ৮ বছর ধরে এখানে কর্মরত আছেন কিন্তু আবেদ আলী নামের কোনো মালিক তিনি চিনেন না। তিনি আরো বলেন, হোটেল সান মেরিনার মালিকের নাম মোঃ মোশাররফ হোসেন, তিনি একজন পেশায় ঠিকাদার।
মোঃ মোশাররফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আবেদ আলী নামের কোন ব্যক্তি এই হোটেলের শেয়ার অথবা মালিকানা নেই। তার সাথে কখনো দেখা হয়নি। তিনিই হোটেল সান মেরিনার এক মাত্র মালিক।বেশ কয়েক মাস আগে হোটেলের শেয়ার বিক্রি করার এজন্য একটি সাইনবোর্ড দিয়েছিলেন, আবেদ আলী সেই সাইনবোর্ডের ছবি প্রতারনা করে ফেসবুকে দিয়ে মালিক দাবি করে পোস্ট করেছেন। তিনি এই আবেদ আলীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান। কিন্তু ইতোমধ্যে হোটেল সান মেরিনা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সান মেরিনা হোটেল কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ ৫২ দিন পর সৈয়দ আবেদ আলীর মালিকানা অস্বীকার করায় অনেকই নেতিবাচক সমালোচনা করছেন। ধারনা করা হচ্ছে সান মেরিনা কর্তৃপক্ষ বর্তমান ঝামেলায় এড়াতেই আবেদ আলীর মালিকানা অস্বীকার করছেন বা গোপন রাখার চেষ্টা করছেন।